Tuesday, February 16, 2016

ভালোবাসার কবিতা

♫♪মনে পড়লে অকারণ
কাউকে বলা বারণ
রিমঝিমঝিম বরষায়
তুই আজ ভেজার কারণ
মেঘেদের ডাকবাক্সে
তোর চিঠি পৌছে দিলাম
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।
লাস্ট ট্রেন হলে মিস
তোর কাছে করি আব্দার
একজোড়া ট্রাম তার
তুই পাখিদের সংসার
রাতজাগা নাকি
তোর ঘুমে পাঠালাম।
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।
এই বাসস্টপ কেউ নেই
তুই ভেসে আসা গান
দলছুট পাখিদের তুই হলি
খোলা আসমান
ভর দিয়ে তোর ডানায়
নতুন উড়াল দিলাম।
হাওয়ায় রাত পাখি গান গায়
চোখ মুছে যায়
রুমাল শুকায় জলের আরামে
ঘুম এসে যায়।♫♪

ভালোবাসার কবিতা

যে একেবারেই অভিমান করতে জানে না, সে ভালবাসতেও জানে না । চোখের বালি ।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভালোবাসার কবিতা

                                              অপেক্ষা করতে করতে আতশবাজির মতো
                                                       কখন যে ফুরিয়ে গেছি,
                                                   তোমার ঈশ্বরও জানেন না।
                                                অথচ আঁধার পেরোবার আগে,
                                                তোমার আমাকে আকাশভরা
                                                    সূর্যোদয় দেবার কথা ছিল।

                                                                                          ___ DJ HASAN

আজকার ভালভাসা

দামাদামি শেষে গরুর মালিক ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় গরু দিতে রাজি হলেন। রতন সাহেব এবার খুব খুশি। ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছেন। এলাকার সবচে বড় কুরবানিটা উনিই দিচ্ছেন। মনে মনে প্র্যাক্টিস করছেন বারবার, লোকে দাম জিজ্ঞেস করলে কোন স্টাইলে বলবে। হাসিটা কেমন করে দিলে গরুর দামের সাথে মিলবে। এসব ভাবতে ভাবতে গরু নিয়ে বাসার দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।
বাড়িতে ফোন করে বউকে বলে দিলেন, - ‌'হ্যালো শুনছো? গরু কেনা শেষ। সবাইকে বলে দিও, এবারে এলাকার সবচে বড় কুরবানিটা আমিই দিচ্ছি।' বউ আশপাশের বাসায় 'ভাবি-ভাবি' করে সেকি হুলুস্থুল কারবার। পরিবারের ছেলে মেয়েরা খবর পেয়ে বাড়ির গেইটে ভীড় করেছে। কখন গরু নিয়ে আসবে।
এদিকে গরুর হাটে ঘুরতে ঘুরতে রতন সাহেবের দামি জুতাটা নষ্ট হয়ে গেলো। কাদা-মাদা মেখে ভিজে-টিজে জুতার অবস্থা কাহিল। একপাশ ছিড়েও গেছে। রাত পোহালেই ঈদ। এলাকার সবচে বড় কুরবানিদাতার জুতার এই অবস্থা! বিষয়টা রতন সাহেব ভাবতেই পারছেন না। শেষ পর্যন্ত নতুন আরেকটা জুতাই কিনে নিলেন। এখন বেশ স্বস্তিতে হাঁটছেন তিনি। ইচ্ছে করেই গরুর সাথে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। আলাদা গেলে লোকে যদি আবার অন্য কাউকে মালিক ভেবে বসে! রাস্তায় কেউ দাম জিজ্ঞেস করলেও বলছেন। আবার না জিজ্ঞেস করলেও বলছেন। না বলে শান্তিই পাচ্ছেন না। এতগুলো টাকা খরচ করে কুরবানি দেয়া হচ্ছে, লোকে যদি না-ই জানলো। তবে আর লাভ কী!
গরু নিয়ে বাড়িতে আসতে আসতে প্রায় রাত হয়ে গেলো। ফলে আশপাশের তেমন কেউ গরু দেখতে এলো না। ফোন করে পরিচিত সবাইকে বলে রেখেছেন। সবাই সকালে আসবে গরু দেখতে। মোটামোটি সবাইকে দেখানোর পরেই গরুটা জবাই করবেন তিনি। ভাবছেন এবারের গরুটা বাড়ির সামনে জবাই না দিয়ে স্কুলের মাঠে সবার সাথে দিবেন। এতে গরুর দাম জানতে চাইবে অনেকে। চোখেও পড়বে ব্যপারটা।
রতন সাহেবের অস্থির অস্থির লাগছে। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছেন। কখন সকাল হবে, প্রতিবেশীরা ভীড় করবে রতন সাহেবের গরু দেখার জন্য। সবাই গুনগুন করে বলবে, রতন সাহেবের গরুটাই এই এলাকার সবচে দামি। রতন সাহেব এসব কথা শুনেও না শুনার ভান করবেন। উল্টো সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলবেন, ‌'এবারে গরুর দাম তো বেশ কম যাচ্ছে...!' এসব ভাবতে ভাবতে রাত দুটা বেজে গেলো। রতন সাহেবের ঘুম আসলো না।
হঠাৎ শুনলেন, দরজায় ঠক ঠক শব্দ। অবাক হলেন না রতন সাহেব। গরুর দাম শুনে এই মধ্যরাতে কেউ আসতেই পারে। দরজাটা খুললেই তো বলবে, '- আহা রতন সাহেব, কি একখান গরু কিনলেন ভাই, কাঁপায়া দিলেন তো' মুচকি হাসতে হাসতে দরজা খুললেন রতন সাহেব। খুলেই অবাক হয়ে গেলেন। কারণ, উনার প্রতিবেশী কেউ আসেনি। বরং অপরিচিত একটা গ্রাম্য মানুষ এসেছে। চোখে-মুখে ঘাম। একটু পর পর চোখ মুছছে লোকটা। গায়ে ময়লা কাপড়। হাঁটু পর্যন্ত কাদা লেগে আছে। পায়ে জুতা নেই। তবে হাতে এক জোড়া স্যান্ডেল, ভাঁজ করে ধরে রেখেছে। সাথে ১১/১২ বছরে ছোট একটা ছেলে।
রতন সাহেব খুব বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
- কে আপনি?
- স্যার আমি আফনের গ্যারেজে রাখা গরুটার মালিক!
- মালিক মানে! আমি গতসন্ধ্যায় এত দাম দিয়ে কিনে নিয়ে এলাম, আর আপনি বলছেন 'গরুর মালিক!'
- না স্যার, আসলে আমি আগে এই গরুটার মালিক আছিলাম, মানে গতসন্ধ্যায় আমিই গরুটা আফনের কাছে বিক্রি করছি।
- ও আচ্ছা, তো এত রাতে কেনো আসছো? ভুল করে টাকা কম দিয়েছিলাম? নাকি জাল নোট পড়েছে?
গ্রাম্যলোকটা উত্তর না দিয়ে চুপ করে আছে। চোখ থেকে পানি পড়ছে অনবরত। রতন সাহেব কিছু বুঝতে পারছেন না। বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
- আরে কী হয়েছে বলবা তো! কাপড়-চোপড় লাগবে? নাকি আরও টাকা চাও?
- না স্যার, আসলে গরুটারে একটু দেখতে আসছিলাম। আমার পোলাডায় সারা রাইত কিছু খায়নাই। বারবার গরুটারে দেখতে চাইতেছে। তাই এই রাইতে ৯ মাইল হাঁইট্যা আসছি স্যার। হাঁটতে হাঁটতে স্যান্ডেলটা ছিইড়া গেলো। যদি কিছু মনে না করেন, আমারে একটু সুযোগ দিলে গরুটারে একটু দেইখ্যা যাইতাম।
রতন সাহেব নিস্তব্ধ হয়ে গেলেন। গ্যারেজ খুলে দিলেন। গ্রাম্য লোকটা ভেতরে ঢুকেই গরুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন। ছোট ছেলেটাও কাঁদছে আর লোকটাকে জড়িয়ে ধরে বলছে, ‌'বাজান, ওই স্যাররে ট্যাকা ফেরত দিয়া দেও, আমি গরু নিয়া যামু! বাজান! ও বাজান! আমি গরু নিয়া যামু'
গ্রাম্যলোকটা তার ছেলেকে কোনো উত্তর দিতে পারছে না। শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। রতন সাহেব দূর থেকে চুপচাপ দেখে যাচ্ছেন সব। বেশ কিছুক্ষণ পরে দুজন বেরিয়ে এলো। চোখ মুছতে মুছতে বললো,
- স্যার, আফনেরে হুদাই কষ্ট দিলাম, মনে কিছু নিয়েন না।
- না না ঠিক আছে। তুমি কি রাতে খেয়েছো?
- জী স্যার, আল্লায় খাওয়াইছে।
- ও কি তোমার ছেলে?
- জী স্যার, আল্লার মাল একটা পোলাই। এইডারে পড়ালেখা করানোর জন্যই আদরের গরুটা বেইচ্যা দিলাম। গেলাম স্যার... দোয়া রাইখেন....
- একটু দাঁড়াও,
রতন সাহেব ঘর থেকে এক হাজার টাকার একটা নোট আনলেন। জোর করে ছোট ছেলেটার হাতে গুজে দিলেন নোটটা। বললেন, ঈদের দিন এসে বাসায় খেয়ে যেয়ো। বিদায় দিয়ে রতন সাহেব ভেতরে ঢুকতে গেলেন। লোকটা আবার চিৎকার করতে করতে দৌঁড়ে এলো,
- স্যার স্যার, আরেকটা কথা স্যার,
- হ্যা, বলো,
- জবাইয়ের আগে গরুটারে একটু আস্তে ফালায়েন স্যার... অনেক আদরের গরু তো.....
এতটুকু বলেই লোকটা আবার কেঁদে উঠলো। আবার কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রতন সাহেবকে সালাম দিয়ে রাস্তার দিকে হাঁটতে শুরু করলো গ্রাম্যলোকটা। রতন সাহেব অনেক দিন পরে অনুভব করলেন, নিজের চোখ দিয়ে টপটপ পানি পড়ছে। ভেজা চোখ নিয়ে আর ভেতরে ঢুকলেন না। গেইটের গ্রিলে ভর করে নিশ্চুপ তাকিয়ে আছেন, সত্যিকারের কুরবানি দেয়া খালি পায়ের অচেনা মানুষটার দিকে.....
..........................................................
খালি পায়ের অচেনা মানুষ
- মেহেদি হাসান

ভালভাসা ভালবাসা

তুমি একদিন একটা অর্ধনগ্ন ভিখারিকে দেখার পর নিজের চাদরটা খুলে দিয়েছিলে। চাদরটা তোমার পছন্দের ছিল খুব। তুমি একদিন বৃষ্টিতে শহরের সব থেকে সুন্দর ছাদে বসে কবিতা বুনেছিলে; কবিতাটা খাঁটি ছিল খুব।
একদিন রিকশা ওয়ালাকে ভাড়া দেবার সময় রিকশাওয়ালার গা থেকে আধা লিটার ঘাম ঝড়তে দেখে তুমি তাকে বাসায় নিয়ে বসিয়ে দুটা ভাত খাইয়েছো।
এইসব গল্প কাছের মানুষটাকে বলতে তোমার ভাল লাগে। মানুষটা এইসব শুনে তোমাকে নিয়ে মনে মনে এক ধরনের অহংবোধও করে। তোমার অবচেতন মন তোমাকে দিয়ে এই কাজ গুলো করিয়ে নেয়। এই মনটা সব সময় চায় সবাই তোমাকে অন্যরকম কিছু একটা ভাবুক। তোমার ভেতরে একটা শান্তি শান্তি ভাব হয়।
তোমার জীবনে খুব বিচ্ছিরী কিছু স্মৃতিও আছে। তুমি অনেক বছর আগে একদিন দরজার ফাঁক দিয়ে লুকিয়ে কোন ললনাকে দেখে কামনা করেছিলে। তুমি একদিন খুব বিশ্বস্ত কারো টাকা সরিয়ে ফেলেছিলে। কোন এক বড় ভাই রাস্তায় সবার সামনে চড় মেরে তোমার মাথায় ঝি ঝি করে দিয়েছিল।
সব কিছু মিলিয়েই তুমি। খেয়াল করে দেখবে, তুমি একটা ভুল কাজ করার পরেও নিজেকে কখনো ভুল বোঝো না। তুমি সব সময়ই নিজেকে অর্ধেক প্রকাশ কর আর অর্ধেক নিজের কাছে রাখো। তোমার এই নিজের কাছে রাখা অর্ধেক মানুষটাকে না জেনে কেউই তোমাকে সম্পূর্ণ ভালবাসতে পারবে না।
তোমার সুন্দর সুন্দর গল্প গুলো শুনে সবাই তোমার পাশে থাকবে। কিন্তু এরা কেউই আসলে তোমাকে চেনে না। তোমার যে অংশটি সুন্দর সেটা সবার কাছেই সুন্দর।
তোমার কুৎসিত নোংরা অংশটি জানার পর কেউই তোমার পাশে থাকবে না। তোমাকে এমন কাউকে খুঁজে বের করতে হবে যে তোমাকে আগাগোড়া জেনেই তোমার সাথে থাকবে।
লেখাটি লিখেছেনঃ- mehedi hasan

Monday, February 15, 2016

অনেক বেশি অবহেলা আর কষ্টের দরুন সহ্য
করতে
পারলাম না তাই নিজ থেকে দূরে সরে গেলাম !
কারন...
যাকে এতোটা ভালবাসি সে যদি আমাকে এক
ফোটাও
ভালবাসা না দিতে পারে তাহলে মিছেমিছি এতো কষ্ট
পেয়ে কোন লাভ নাই ৷ মানুষ শত কষ্ট পাবার পরও
ভালবাসে একটু ভালবাসা পাবার জন্য আমিও ওকে
বেসেছিলাম ওর একটু ভালবাসা পাওয়ার জন্য কিন্তু
উল্টে ওরা আমাকে শুধু কষ্ট আর অবহেলাই দিয়ে
গেলে ৷
শত চেষ্টা করেও আমি ওদেরকে বুঝাতে পারি নাই
যে
আমি ওকে কতটা ভালবাসি... এখন আমি আর কোনদিন
কিছু বলব না কিছু করবও না বরংনিঃশব্দে দেখে যাব না
হয় ছেড়ে যাব ৷ আমি আর ভুলেও ওর কাছে
ফিরে যাবো
না ৷


 BY:HASAN

Friday, February 12, 2016

Dj Hasan: দেশের আগের অবস্থা ও পরের অবস্থাসুজলা সুফলা আমাদে...

Dj Hasan: দেশের আগের অবস্থা ও পরের অবস্থা

সুজলা সুফলা আমাদে...
: দেশের আগের অবস্থা ও পরের অবস্থা সুজলা সুফলা আমাদের এই বাংলাদেশ। এই দেশের মাটির গন্ধে আমাদের মন ভরে উঠে। শ্বাস নিলে মনে হয় হাজার বছর এ...
দেশের আগের অবস্থা ও পরের অবস্থা

সুজলা সুফলা আমাদের এই বাংলাদেশ। এই দেশের মাটির গন্ধে আমাদের মন ভরে উঠে। শ্বাস নিলে মনে হয় হাজার বছর এই মাটির বুকে জেগে থেকে প্রান ভরে শ্বাস নিই, শ্বাস নিই বাংলার বাতাস থেকে। কিন্তু ক্রমেই ভারি হয়ে উঠছে আমার মাতৃ ভুমির আকাশ বাতাস। চারিদিকে ভেসে আসছে ক্রন্দনের সুর। ছেলে হারা মাএর কান্নায় হাহাকার করে উঠছে চারিদিক। কিন্তু কেন এই করুণ অবস্থা আমার বাংলা মায়ের ?
আজ যারা আমার মাতৃ ভুমির এই পরিণতির জন্য দায়ি কারা তারা ?
আজ যারা আমাদের মাতৃভূমির দায়িত্ব নিয়েছে তারাই এর জন্য দায়ি। তারা সবাই নিজের জন্য ব্যাস্ত। সবাই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত। কিন্তু তারাই পারে আমার বাংলা মায়ের সম্মান বাচাতে।
কিন্তু আজ তাদের মানব সত্ত্বা লোপ পেয়েছে। আজকে তারা শুধু ক্ষমতা চাই , তারা জানে দেশটাকে শুষে খেতে। কি যায় আসে দেশের ক্ষতিতে?????????????
আজকে জারা নতুন প্রজন্ম   ...............
তারা রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগেই হিসেব কসে, রাজনীতিতে ঢুকলে আমার কি লাভ? রাজনীতি করে দেশকে কি দেব এটা তাদের জানার বিষয় নয়। এভাবেই ধ্বংস হচ্ছে দেশটা। আমাদের পরিশ্রমের সুফল ভোগ করছে বাইরের দেশ।
আমরা যারা নতুন প্রজন্ম আমাদের কন দোষ নেই। দোষ তো তাঁদের, যারা আমাদের মগজে এসব ঢুকাচ্ছে। আমাদের ভুল পথে পরিচালনা করছে। অসুস্থ করে তুলছে আমাদের মস্তিস্ক।

কিন্তু আর না। আমাদের এখনই জেগে উঠবার সময়। জাগো তরুন । বাচাও দেশ। আমি বলছিনা তম্রা রাজনীতি ছেড়ে দাও । তোমাদেরকেই দরকার অভাগা এই দেশটার। রাজনীতি কর, দেশের হাল ধর।
কিন্ত তোমাদের রাজনীতির মুল মন্ত্র হোক এই যে, "আমি রাজনীতি করে দেশের কাছ থেকে কিছু নেব না, আমার পুরো জীবন টাই অভাগা এই দেশটাকে বিলিয়ে দেব। "

Thursday, February 11, 2016

আজি কে ডাকে নতুন সুরে........................
দক্ষিণের সাগর থেকে সজল হাওয়া প্রকৃতির জন্য নিয়ে আসবে উৎসবের গান, আনন্দের রঙ। পাখির ডাকে সেই গান আর গাছের ডালে ডালে সেই রঙ প্রতিফলিত হবে বাংলার জনপদে, জনপথে।
চার দিকে কোকিলের কুহু রব শুরু হয়েছে। মন বলছে, "ঐ দ্যাখ রে দুয়ারে দারিয়ে বসন্ত।" আর সেই মন্ত্রে মুগ্ধ হয়ে এখনই মাতোয়ারা হয়েছে মন।
ফুল ফুটুক আর নাইবা ফুটুক- আগামীকাল চির সুন্দর ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।কোকিলের কুহুতান, দখিনা হাওয়া, ঝরা পাতার শুকনো নুপুরের নিক্কন, প্রকৃতির মিলন সবই আসে এ বসন্তে। বসন্ত মানেই পূর্ণতা; বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব; বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা ...

ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন কাল বন-বনান্তে কাননে কাননে পারিজাতের রঙের কোলাহলে ভরে ওঠবে চারদিক। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও লাগবে রঙের দোলা। হৃদয় হবে উতলা। ঋতুরাজ বসন্ত ছুঁয়ে দিবে বাংলার প্রকৃতি।ফুল ফোটায় আর না ফোটায় কি যায় আসে, সত্যিই তো— ...
এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। চারদিকের পুরোনো জীর্ণতাকে ছেড়ে নতুনের আহবান। শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্ত তার রঙের সমাহার নিয়ে ধরা দিয়েছে প্রকৃতিতে।
মাতাল হাওয়ায় কুসুম বনের বুকের কাঁপনে, উতরোল মৌমাছিদের ডানায় ডানায়, নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে উঠবার আভাসে আর বনতলে কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে : 'আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে..।
পাতার আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিলের মধুর কুহুকুহু ডাক, ব্যাকুল করে তুলবে অনেক বিরোহী অন্তর।সেই অন্তর প্রেমে প্রেমে ভরে উঠবে,গাইবে নবজাগরনের গান, বসন্তের গান।
আজ একটা কবিতা লিখতে মন চাইছে...............
আজি বসন্ত এল এ কোন সাজে
কোকিলের কুহু কুহু ধ্বনি
হৃদয়ে মোর বাজে......,
আজি বসন্ত এল এ কোন সাজে।।

Tuesday, February 2, 2016

ads